উহু, থামবে না মনে হয়। থামতেও পারে। হয়তো চেনা মুখ ছিল, তাই এগিয়ে গিয়ে গিয়ে হাত মেলাচ্ছিল। আমার দিকে আসার কোন কারণ নেই।
‘ব্রাদারস অ্যান্ড সিস্টারস ইন ইসলাম, অলদো মেনি অফ দ্য মুসলিমস ওয়্যার অ্যাংরি ওভার দ্য অ্যাপারেন্টলি লুজিং ট্রিটি অফ হুদায়বিয়া, আওয়ার প্রফেট-পিস-বি-আপন-হিম কল্ড ফর পেশেন্স…’
নাহ, এই লোককে তো চেনা হতেই পারে না। এটা কম করে দুই মহাদেশ ওপাড়ের লোক। কী সুন্দর হাসি! যেন কত দিনের চেনা। আহ্লাদে আটখানা হয়ে হাত মিলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। বয়স আর বছর ত্রিশেক বেশি হলে বলতাম রাজনীতিতে নামবে। নাহ, এই রকম করে কেউ হাত মেলালে তাকে বিনা চিন্তায় ভোট দিয়ে দিতাম। আহা, আসে না কেন আমার দিকে? আয় না রে! কোলে নিবো, গাল টিপে দেবো।
‘আমিন! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদ-অর-রাসূলল্লাহ। আকিমুস-সালাত…’
থাক, বাবুটা হয়তো নামাযের সময় হয়ে না গেলে আসতো আমার কাছেও। অর্ধেক মসজিদের সাথে একা হাত মেলালো, আর আমি বুড়া ব্যাটা কোণায় বসে ঝিমালাম, ছি! কেন যে সামনে বসলাম না। আরেক দিন ওর সামনে গিয়ে বসবো। দেখে রাখলাম।
‘লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর…’
এ কী আমার কাছে দৌঁড়ে চলে এলি নামাযের মধ্যে? ওরে গুলটুশটা রে। আহারে, ভয় পেয়ে গেল। তাড়াতাড়ি ফেরত যা! বাবা বকবে নইলে নামায শেষে। যা! নাহ, নামাযে মন দেওয়া উচিত। প্রে অ্যাজ ইফ ইট ইজ ইওর লাস্ট প্রেয়ার। হোক। শেষ দেখা এমন একটা মুখকেই দেখে যাই না। আড়চোখে একটা ছবি তুলে রাখি মনের অ্যালবামের জন্য।
No comments:
Post a Comment