Tuesday, December 30, 2008

বিজয় দিবসের নাটিকাঃ "সেমিকোলন"

শুরুটা খুব সাদা-মাটা। পরীক্ষার মাঝে মাথা হালকা করতে "মুক্তির গান" ছাড়লো আজমীর। পাশের ঘরে মাহমুদের তখন মাথা ঝাঁ-ঝাঁ করছে টেক-হোম টেস্টের সমাধান করতে গিয়ে। পড়ার বিরতিতে পাশের ঘর থেকে ভেসে আসলো মুক্তির গান। সেই গান শুনেই মাথায় খেলে গেল একটি চিন্তা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কীভাবে যেন দূরে সরে যাচ্ছে। ভাবতে বসে গেল ইতিহাসের কথা।

ব্যাকরণে 'সেমিকোলন' ব্যবহৃত হয় দুটি সম্পূর্ণ বা প্রায়-সম্পূর্ণ বাক্যকে যুক্ত করতে। সেমিকোলনটি প্রথম বাক্যকে পূর্ণতা দেয়, দ্বিতীয় বাক্যটিকে দেয় ভিন্ন মাত্রা। একক ভাবে যতি চিহ্ন, কিংবা তার আগে-পরের বাক্যগুলো গুরুত্ব হারায়।

আমাদের ইতিহাসও তো তেমনই। বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ যেন একটি বিশাল সেমিকোলন। এর আগের সময়টুকুর সব চেতনার পূর্ণতা দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধে। সেই সাথে মেলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দিক-নির্দেশনা।

আমাদের অসারতা, আর উত্তরপ্রজন্মের নিরুৎসাহের কারণে হারিয়ে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও তার চেতনা। সেই চিন্তা থেকেই বিজয় দিবসের রাতে পরীক্ষার মাঝেই এই নাটিকাটি লিখে ফেলে মাহমুদ। আজ রাতে বিজয় দিবসের অনুষ্টানে দেখানো হল নাটিকাটি।

নগণ্য কিছু প্রবাসী ছাত্রের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটুকু তুলে দিলাম আপনাদের জন্য। ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরে দিলে বাধিত থাকবো।

জয় বাংলা!

No comments: