‘ময়ূরকণ্ঠী রাতেরও নীলে, আকাশে তারাদের ঐ মিছিলে, তুমি আমি আজ চল চলে যাই, শুধু দু’জনে মিলে...’
অনেক, অনেক দিন পর! কার গাওয়া যেন? শাকিলার গলায় শুনেছিলাম কখনো? নাহ, ভাবী মনে হয় না পরপর দুইটা শাকিলা গাবেন। পুরুষ কণ্ঠে শুনেছিলাম। সতীনাথ না। হেমন্ত না। দেবব্রত? মানবেন্দ্র! হ্যাঁ, মানবেন্দ্র। সবার গলায় সব ধরনের গান মানায় না। ভাবীর গলায় আধুনিক গান কী অসাধারণ মানায়! ভিডিও হচ্ছে তো ঠিক মত? নাহ, এভাবে হবে না। আবার কখনো গাইয়ে নিতে হবে গানটা। ধ্যাৎ, কেউ একটু আরাম করে গানটা শুনতেও দিবে না।
‘হয়তো পাবো না পথেরও ঠিকানা, তবু যাবো আজ ছাড়িয়ে সীমানা, সাথী যদি হও পাশে থেকে মোর, করি না ভয় নিখিলে...’
না, পারবো না ভাল করে বলতে। এই গানটা শুনতে দাও ঠিক মত। অনেক দিন পর শুনছি। মন কেন খারাপ হয়ে যায় সেটা কি তোমার জানতে বাকি আছে? এক সময় খুব প্রিয় ছিল গানটা। দেশ ছেড়ে আসার পর হারিয়ে ফেলেছিলাম। প্যারোডি করলে অন্য ঘরে গিয়ে কর, প্লিজ। সব জায়গায় অযথা চ-বর্গ আর প-বর্গের ছড়াছড়ি ভাল লাগে না। চুপ করে শোনো, ভাল লাগবে।
‘আকাশ যদি ঢাকে ঘনঘটায়, তারারা মেঘে মেঘে হারিয়ে যায়...’
সবাই গলা মেলাচ্ছে। গুনগুন করবো? করি, কী আছে কপালে! গলা ছেড়ে গান গাইলে নাকি হতাশা কেটে যায়, দেখি আজকে চেষ্টা করে। আরে নাহ, প্রেমে পড়ি নাই। গানটা এমনিতেই খুব প্রিয়। তবে আপনার গলায় কিন্তু একটা গান রেকর্ড করাবো আমি, বৌদি। উহু, কোন মাফ নাই। ইউটিউবে দেওয়া হবে না, প্রমিস। আজি এসেছি বধূ হে গেয়ে দেবেন আমাকে। ডি. এল. রায়ের মনে হয়। ঐ যে, তিতলি ভাইয়ার জন্মদিনের গান। দেশে একবার ই-টিভিতে শুনেছিলাম গানটা। গান-কবিতা কিছুই খুঁজে পেলাম না। এই ঘরানায় আমার দৌঁড় তো জানেনই।
‘যা আছে থাক না,করি না ভাবনা, আঁধারে-কুয়াশায় হারিয়ে যাবো না, মনেরো আলোয় চিনে নেবো পথ, তুমি ভরসা দিলে...’
‘তুমি আমি আজ চল চলে যাই, শুধু দু’জনে মিলে...’