৬. ডিস্ট্রিবিউটেড সিঙ্গুলারিটি
জাতিগতভাবে আমাদের বড় সীমাবদ্ধতাগুলোর একটা হল উদ্ভাবনী শক্তির অভাব। অন্যের অনুকরণেই শুধুমাত্র আমাদের সুকুমারবৃত্তিগুলো জেগে ওঠে। বিজ্ঞান থেকে সঙ্গীত পর্যন্ত সর্বত্রই এক অবস্থা। উদ্ভাবনের উপহার সবার মধ্যে থাকে না। এতে দোষেরও কিছু নেই। তবে যে-বিষয়টি ঐকান্তিক ভাবে প্রয়োজন, তা হল শূন্যতা সম্পর্কে সচেতনতা। উদ্ভাবকেরা শূন্যতাকে পূরণ করার উপায় বের করেন, আর শূন্যতা সম্পর্কে সচেতন মানুষেরা সেই উদ্ভাবনকে ছড়িয়ে দেন সর্বত্র। নেতৃত্বের ব্যাপারটাও অনেকটা সেরকম। বড় নেতা খুব কম মানুষই হতে পারেন। অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে বহুযুগে একজন গান্ধী বা বঙ্গবন্ধু আসেন, তবে তাঁদের সাফল্য নির্ভর করে প্রজন্মের উপর। প্রস্তুত ও উপযুক্ত প্রজন্ম ছাড়া কোন নেতাই সফল হতে পারেননি। ইতিহাসের মহানায়ক বিরল ও দৈব হলেও ইতিহাসের সাক্ষী ও বাস্তবায়নকারীরা সাধারণ মানুষ। শূন্যতা নিয়ে সচেতন না হলে কোন জাতি প্রস্তুত হতে পারে না তার মহানেতার জন্য।
অনুকরণপ্রিয়তা থেকেই আমরা ভাবতে ভালবাসি যে গণতন্ত্র আমাদের শূন্যতাগুলো পূরণের জন্য শ্রেষ্ঠ শাসনব্যবস্থা। এই ভাবনাটি ভুল, এমন কোন তত্ত্বের অবতারণা করছি না। তবে প্রশ্ন জাগা খুবই স্বাভাবিক, আমাদের গণতন্ত্রমুখীতার কতটুকু সচেতন। আমরা জানি যে আমাদের অঞ্চলে একনায়কতান্ত্রিক যেকোন শাসনব্যবস্থাই স্বৈরাচারী দৌরাত্ম্যের রূপ নিয়ে ফেলে। নোংরা সাম্রাজ্যবাদ বলতে যা বোঝায়, তা পশ্চিমেও ছিল। তবে রাজায় রাজায় যুদ্ধের যুগ পেরিয়ে এখন অনেক সভ্য ও শালীন ভাবে রাজনীতি পরিচালিত হয় পশ্চিমে। বিভিন্ন রকম ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও পাশ্চাত্য সমাজ অনেক সহনীয়, তাদের বেলায় এককেন্দ্রীক শাসনব্যবস্থা কার্যকর। অন্তত এমনটাই আমাদের ধারণা, আর এমনটাই পাশ্চাত্য প্রচার করে থাকে।
প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের তফাৎগুলোর জন্য রাজনীতি যতটা, তার চেয়ে পারিবারিক ব্যবস্থা হয়তো কিছুটা বেশি দায়ী। এক প্রজন্ম আগ পর্যন্ত সনাতন বাঙালি পরিবারে বাবার বয়স মায়ের বয়সের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। বন্ধু বা জীবনসঙ্গী হওয়ার আনন্দের চেয়ে অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিয়ে পুরুষদের ভাবতে হয়েছে বেশি। বাঙালি পরিবারে স্বামী বা পিতা বা বড় সন্তানের অবস্থান তাই যতটা আহ্লাদের, তার চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্বের। পরিবারের কর্তার জীবন কাটে হরেক রকম হিসেব-নিকেশে। ফলাফলস্বরূপ আমার মতই অনেকে বেশি বয়সে এসে বাবার চরিত্রের নরম দিকটির সাথে পরিচিত হন। তার আগ পর্যন্ত বাবা মানেই বিভীষিকা, বাবা মানেই বাঘের মত ভয় পাওয়া।
এতকিছুর পরও ছেলেবেলায় প্রিয় ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে রচনা লিখলেই সবাই বাবা, নয়তো নবীজী (স) এর নাম লিখতাম। আমার বাবা অত্যন্ত সজ্জন মানুষ, তিনি মিঠে-কড়া শাসনে আমাদের লালন-পালন করেন, সকাল হলে বাবার আযানে ঘুম ভাঙে, সন্ধ্যা হলে বাবার সাথে মাগরিবের নামায পড়ি, রাতে বাবা আমাদের দুই ভাইবোনকে অত্যন্ত যত্নের সাথে লেখাপড়া করান, রাতের খাবারের পর বাবার তেলাওয়াত শুনতে শুনতে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি, ইত্যাদি কথা আমরা প্রত্যেকেই লিখেছি জীবনে কখনো না কখনো। বাবা নামক অনুপ্রেরণাদায়ী মহীরূহগুলো না থাকলে কি এই চোথামারা রচনাগুলো থাকতো না? খুব থাকতো। দেশ-বিদেশের শিক্ষা আর অগণন বর্ষা-বসন্ত পেরিয়ে এসে আজও প্রিয় ব্যাক্তিত্বকে নিয়ে রচনা লিখলে আমি আমার বাবার কথাই বলবো। শুধু আমি নই, প্রায় সবাইই লিখবেন। এই অনুপ্রেরণার ভূমিকা আমাদের সমাজে ব্যাপক। কঠোর, কর্কষ বাবাগুলো প্রাচ্যের পরিবারে যতটা একনায়ক, তার চেয়ে অনেক বেশি নায়ক।
প্রাচ্যের তুলনায় এই দিকে পাশ্চাত্য একেবারেই আলাদা। এখানে আদৌ এই ধরণের মধ্যযুগীয় বিষয়বস্তু দেওয়া হয় না। বাড়তি কিছু নম্বর পাওয়ার আশায় সেখানে ধর্মের চর্বিতে চুবিয়ে চুবিয়ে রচনা লিখতে হয় না। তবে প্রিয় ব্যাক্তিত্ব নিয়ে রচনা লিখতে দেওয়া হলে অনেক রকম প্রিয় ব্যাক্তিত্ব পাওয়া যাবে। হেমিংওয়ে থেকে জিম মরিসন পর্যন্ত অনেক রকম নাম ঘুরে-ফিরে আসবে। এখানে মানুষ নিজের ইচ্ছা আর স্বপ্নগুলোর সাথে মিলিয়ে ব্যাক্তিত্ব পছন্দ করে। আমি যে-পথে যেতে চাই, সে-পথের অগ্রণীই তো হবেন আমার আদর্শ। যারা ঝরে যাওয়ার চেয়ে মরে যেতে পছন্দ করে, তারা কার্ট কোবেইনকে প্রিয় ব্যাক্তিত্ব মানে। যারা বিশ্বশান্তির জন্য কাতর, তারা জন লেননকে স্মরণ করে। নারীবাদীরা আপাদমস্তক শ্রদ্ধাবনত হয়ে ওপরাহ্’কে মানে। প্রথাবিরোধী আর মুক্তিকামী মাত্রই চে গেভারা’র পোস্টারের দিকে তাকিয়ে নির্ঘুম রাত কাটায়। খোঁজ নিলে এরকম অজস্র পছন্দ পাওয়া যাবে পশ্চিমে।
এই স্বাধীন পছন্দগুলো পশ্চিমের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গণতান্ত্রিকতাকে ইঙ্গিত করে। ডিস্ট্রিবিউটেড ডেমোক্রেসির পশ্চিমে বিনয় জীবনের অংশ হিসেবেই আসে, আর অথরিটি আসে শাসনের পথ হিসেবে। পশ্চিমা সমাজে পরিবার অনেক বেশি গণতান্ত্রিক। স্ত্রী-পুরুষ-পুত্র-কন্যা-চাচা-মামা-বন্ধু নির্বিশেষে সবার মতামতের ভূমিকা আছে পরিবারে। হুকুম দেওয়া হয় অনুরোধের সুরে। আমার মনে হয় তোমার এই কাজটা করা উচিত, তুমি বোধহয় এটা করতে পারলে খুশি হবে, আমি হলে মনে হয় এভাবে করতাম কাজটা। এভাবেই কর্তৃত্বের বদলে অনুপ্রেরণা আর যুক্তি দিয়ে চালিত হয় জীবন।
প্রাচ্যের অবস্থা উলটো। একারণে এখানে এমন ব্যবস্থা দরকার, যা পূর্বের সামাজিক রীতিকে প্রতিফলিত করে। আমরা দু’টাকা বেশি জুটলেই ভাবি আত্মীয়-পরিজনের কথা। নিজের লোক ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করি না, মাইক ও ক্ষমতা পেলে ছাড়তে চাই না। নিজগৃহের দায়িত্ব ও কর্তৃত্বপরায়নতার রেশ চলে আসে আমাদের রাজনৈতিক জীবনেও। দেশটা পশ্চাৎপদ, আমাদের অনেক কাজ বাকি, সময় কম, মানুষের মাঝে শৃঙ্খলাবোধেরও অভাব ভীষণ। এরকম অবস্থায় কিছু মাত্রায় হলেও কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা একটি প্রয়োজনীয় বাস্তবতা। সীমিত মাত্রায় এধরনের এককেন্দ্রিকতার প্রচলন করতে আমরা খুচরো নির্বাচনগুলোয় শুধু মূল নেতাকে নির্বাচিত করতে পারি। অতঃপর তাঁকে নিজের পছন্দমত লোক নিয়োগ করার অধিকার দেওয়া যায়।
বর্তমান ব্যবস্থায় সরকারী আমলারা একই জায়গায় থাকেন, শুধু তাঁদের মাথার উপর মনিব বদল হয়। এই ধারাটির পরিবর্তন করে প্রত্যেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে তাঁর পছন্দের লোকজনকে নিয়ে কাজ করার অধিকার দেওয়া উচিত। এতে করে মেয়াদশেষে তাঁর কাছে জবাবদিহিতা চাওয়াও অনেক সহজ ও স্বচ্ছ হবে। আগের আমলের রেখে যাওয়া আমলাতন্ত্রের কারণে কাজ গতিশীলতা পায়নি, এমনটা কেউ দাবি করতে পারবেন না তখন।
নেতার জন্যও এধরনের ব্যবস্থা উপকারী হওয়া উচিত। যোগ্য মানুষের সাহচর্য না পেলে যোগ্যতার অবস্থানে যাওয়া দুষ্কর। পথে-প্রবাসে অনেকের সাথেই আমাদের চেনা-পরিচয় হয় যাঁরা দেশ পরিচালনার কাজে সাহায্য করতে পারেন। তাঁদের ফেলে আমলাতন্ত্র বা দলীয় প্যানেল থেকে বেঁধে দেওয়া কাউকে নিয়ে প্রশাসনিক কাজ সমাধা করার পদ্ধতিটি আমাদের অহেতুক বিবাদ ছাড়া কিছু দিচ্ছে না। পারিবারিকতা আর স্বেচ্ছাচারে সম্মিলিত কুফল এমনিতেও থাকবে। আত্মীয়পরায়নতা কোন না কোন মাত্রায় বিদ্যমান থাকবেই আমাদের সমাজে। আমরা জোর করে এগুলো এড়াতে চাই, চাই জোর করে হলেও ঐক্য চাপিয়ে দিতে। বাস্তব হল, যেকোন কিছুই নিয়মে নিষিদ্ধ থাকলে তা নিয়ে ঝামেলা হয় বেশি। অনুশাসনের বাড়াবাড়ি ও তার কুফলগুলো আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। নির্বাচিত হবার পর তাই সীমিত, নিয়ন্ত্রিত স্বেচ্ছাচারের অধিকার দেওয়া যায় রাজনীতিকদের।
নিজের মানুষ বা কাছের মানুষদের নিয়ে কাজ করবার অধিকারটুকু পেলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা লেগেসি নিয়েও চিন্তিত হবেন, যেমনটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যায় প্রশাসনিক বিভাগকে নিয়ে। নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি নিজের দল ও মতের লোকেদের নিয়ে প্রশাসন সাজান। চাইলে পুরনো কর্মকর্তাদেরও রাখেন। এসব খুঁটিনাটি নিয়ে কেউ ঘাটায় না। শাসনকালের মেয়াদ শেষ হলে রাষ্ট্রপতিরা নিজের নামে লাইব্রেরি বা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, লেখালেখি করেন, নয়তো বিশ্বময় ঘুরে বেড়ান শান্তির খোঁজে। ক্ষমতার পাশাপাশি দায়-দায়িত্বও ব্যক্তির ঘাড়ে দেখে এককেন্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দেরিতে হলেও লেগেসি নিয়ে চিন্তা দেখা যায়। একক ক্ষমতার মাদকতা থেকে কেউ সহসা বের হয়ে আসতে পারেন না। স্বল্পমেয়াদে তো নয়ই। তবু পৃথিবীর সব একনায়কই নিজের ভাবমূর্তি সম্পর্কে সচেতন। সিজার থেকে এরশাদ পর্যন্ত কেউ এর ব্যতিক্রম নন। যেখানে শাসনব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে হয়, সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই এই চেতনার উন্মেষ একটু দেরিতে হয়।
পশ্চিমের সমাজে বিভিন্ন রকম শাসনব্যবস্থায় এই রকম একনায়কতন্ত্র ছড়িয়ে আছে, যা সমাজের তৃণমূলের গণতান্ত্রিকতার সাথে এক ধরণের প্রয়োজনীয় বৈপরিত্য সৃষ্টি করে। যেখানে সমাজ গণতান্ত্রিক, সেখানে শাসনব্যবস্থা একনায়কতান্ত্রিক। প্রাচ্যে পরিবার কাঠামো থেকে মজ্জায় ঢুকে যাওয়া এক ধরণের প্রশাসনস্পৃহা আমাদের বিরত রাখে রাজনীতি কিংবা আইন প্রণয়ন থেকে। সেকারণে আমাদের দেশে সংসদের নিম্নকক্ষ কিংবা স্থানীয় সরকারে বিশ্লিষ্ট ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় নিয়মতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্র, দেওয়া যায় পরিমিত স্বেচ্ছাচারের সাময়িক অধিকার। রাজনীতি আর প্রশাসনের মাঝের খিচুড়ি সম্পর্কটি এভাবে পৃথক সম্ভব।
মোটা দাগে বিবেচনা করলে পৃথিবীময় ছড়িয়ে থাকা শাসনব্যবস্থাগুলো সংসদীয়, নয়তো রাষ্ট্রপতিশাসিত। এই দুই শাসনব্যবস্থার মূল পার্থক্য লেজিসলেটিভ বনাম ইন্সপিরেশনাল। একটিতে অনেক সময় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে শুদ্ধ ও সঠিক আইন প্রণীত হয়। অন্যটিতে নেতার আদর্শে জাতি স্বপ্ন দেখে। সম্প্রতি হিলারি ক্লিনটন ও বারাক ওবামার মধ্যকার প্রাইমারি নির্বাচন এই বিষয়টি চোখের সামনে নিয়ে এসেছে দারুণভাবে। হিলারি ও ওবামার মধ্যে সবচেয়ে গভীর পার্থক্য ছিল চিন্তা ও কার্যধারায়। দু’জনেই অল্প সময় ধরে সিনেটর থাকলেও একজন বিভিন্ন রকম নেগোশিয়েশনে পারদর্শী, আরেকজন ইন্সপিরেশনে। একজন জনসভায় খুঁটিনাটি হিসেব করে করে বোঝাতেন কী করবেন এবং কেন, অন্যজন লোমহর্ষক বক্তৃতায় হাজার হাজার মানুষকে উজ্জীবিত করতেন আত্মোন্নতিতে নিয়োজিত হতে।
আমাদের শাসনব্যবস্থার তৃণমূল পর্যায়ে বাবার মতই একনায়ক আমরা। এই পর্যায়টায় সবাই প্রশাসনমনস্ক। পক্ষান্তরে উপরতলায় নিজ নিজ পরিবার ও পরিপার্শ্বের দেওয়া শিক্ষা নিয়ে দর কষাকষি করে আমরা সম্মিলিত সামাজিক মূল্যবোধের জন্ম দেই। আমাদের দেশটার জনসংখ্যা অনেক বেশি দেখেই আমাদের সমাজে অনুপ্রেরণার ভূমিকা প্রবল, ঠিক যেমন আমাদের পরিবারগুলো বড় দেখেই সেখানে বাবাতন্ত্রের প্রচলন বেশি। আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থার একক অংশগুলোকেও এভাবেই গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন শুধু কিছু নিঃসংশয়, নিঃসংকোচ মানুষের।
যদি বলেন বাঙালি সংশোধনের অযোগ্য একটি স্বার্থপর জাতি, তবে বলবো অন্ধকারের পরই প্রখরতম সূর্য আসে। যদি বিশ্বাস করেন যে বাঙালির স্পৃহা ও সম্ভাবনা অমিত, তবে হাল না ছেড়ে কণ্ঠ ছাড়ুন জোরে। হয়তো রাজনীতির পথে-প্রান্তরে আমার মতই আপনারাও স্রেফ নিজের মতে অত্যন্ত সরব থাকবেন। তবু আমারই মত বেহায়া স্বপ্নবাজি করে দিন কাটাবেন আপনারাও। বিবাদ হবে, ঝামেলা আসবে, ঝগড়া বাঁধবে, লাশ পড়বে। তবু বেহায়া বাঙালির বেহায়া স্বপ্ন থেমে থাকবে না। হতাশাবাদীরা যা-বলে বলুক না কেন, এখানেই আমাদের নিজস্বতা। স্বাধীনতা আর সমঝোতার এই মিশেলই আমাদের নিজস্ব ধাঁচের গণতন্ত্র।
Thursday, July 03, 2008
Subscribe to:
Posts (Atom)